শবেবারাআতের ফযিলত ও আমল
চন্দ্রবর্ষের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস শা'বান । এর মধ্যরাতকে হাদিসের ভাষায় "লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান তথা অর্ধ-শা'বান এর রাত বলা হয় ।কেননা, এ রাতে গুনাহসমুহ থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং পাপের অশুভ পরিণাম থেকে রেহাই পাওয়া যায় ।হাদীস হযরত মু'আয এবনে জাবাল (রা:) বলেন, রাসুলে করীম (সা:) ইরশাদ ফরমান-'' আল্লাহ তা'আলা অর্ধ-শা'বান এর রাতে সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপূষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন''। (সহীহ ইবনে হিব্বান,হাদীস নং-৫৬৬৫/ সুনানে বাইহাকী হাঃ-৩৮৩৩)
এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে,এ রাতে আল্লাহ তা'আল্লার পহ্ম থেকে মাগফিরাতের দ্বার ব্যাপকভাবে উম্মক্ত করা হয় । কিন্তু শিরকী কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যাক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষপূষণকারী মানুষ এই ব্যাপক রহমত, মাগফিরাত ও সাধারণ হ্মমা থেকে বঞ্চিত থাকে।
ফুকাহায়ে কিরামের দৃষ্টিতে শবে বারাআত
আল্লামা শামী,ইবনে নুজাইম,শাইখ আব্দুল হক দেহলভী,হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী,মুফতী তকী উসমানী সহ উলামায়ে হানাফিয়ার রায় হলো, শবে বারাআতে শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী জাগ্রত থেকে একাকিভাবে ইবাদত করা মুস্তাহাব । তবে এ জন্য জামা'আতবদ্ধ হওয়া যাবে না।(আল বাহরুর রায়িক, ২য় খন্ড, ৫২ পৃষ্ঠা / মা সাবাত বিস-সুন্নাহ,৩৬পৃষ্ঠা )
শবে বারাআতের আমল
রাতে আমল করা
হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন,একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নামাযে দাঁড়ান এবং এতো দীর্ঘ সিজদা করেন যে, আমার ধারণা হয়, তিনি হয়তো মৃত্যু বরণ করেছেন । আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম । তখন তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়লো । যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা!তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে যে আল্লাহ ও তার রাসুল তোমার হক নষ্ঠ করবেন ? আমি বললাম, তা নয়, ইয়া রাসুল্লালাহ! আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিলো, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা ।নবীজী (সা:) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) ভাল জানেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এটা হলো অর্ধ শা'বানের রাত । আল্লাহ তা'আলা শা'বানে তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রারথনাকারীদেরকে ক্ষমা করেন, অনুগ্রহকারিদের অনুগ্রহ করেন ।আর বিদ্ধেষ পুষোণকারীদেরকে ছেরে দেন তাদের অবস্থাতেই।(বায়হাকী,৩য়,৩৮২পৃষ্ঠা)
এ হাদীস দ্ধারা প্রমাণিত হলো, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামায পড়া উত্তম যাতে সিজদাও দীর্ঘ হবে ।এ রাতে কুর'আন তেলাওয়াত,জিকির-আযকার ইত্যাদি আমল করা যায় ।এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে যে, এ রাতের আমলসমূহ বিশুদ্ধ মতানুসারে সম্মিলিত নয়; নির্জনে একাকীভাবে করণীয়।
আর পরদিন নফল রোযা রাখা হাদীস দ্ধারা প্রমাণিত । তবে হাদীস এর সনদ যঈফ । কিন্তু চন্দ্রমাসের ১৩,১৪,১৫ তারীখে রোযা রাখা সহীহ হাদীস দ্বারা বর্ণিত ।তাই এই দিন রোযা রাখতে পারবে ।আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সঠিক ভাবে আমল করার তাওফীক দান করোন ।
আমীন ........................।
very nice site......... I know how much Islamic nolege in this sie
ReplyDelete